সোহেল মৃধা // ই-কমার্স বাংলাদেশের জন্য একটি উদীয়মান ব্যবসা সেক্টর, একসময় আমাদের দেশের অর্থনীতির উপর দারুণ প্রভাব ফেলবে ই-কমার্স । ই-ক্যাবের সদস্য সংখ্যা এখন ২০০ যার মধ্যে ছোট এবং বড় ই-কমার্স কোম্পানি আছে। এসব প্রতিষ্ঠানের দৈনিক গড় বিক্রী হয়তো সংখ্যার দিক থেকে ৫-১০০+ হবে। গড়ে যদি প্রতিদিন ৫০টা বিক্রি হয় তাহলে ই-ক্যাবের সদস্যদের প্রতিদিন ১০,০০০ টা বিক্রি হবে। যদি গড়ে ১০০০ টাকার বিক্রি হয় তাহলে প্রতিদিন বিক্রির পরিমাণ হবে ১ কোটি টাকা। বছরে হিসেব করলে এটা দাড়াঁয় ৩৬৫ কোটি টাকা। ই-ক্যাব সদস্য ছাড়াও আরও অনেক বিজনেস পেইজ এবং ওয়েবসাইট আছে যাদের বিক্রিও কম না, সব মিলিয়ে বর্তমান অবস্থা কোনভাবেই খারাপ না।
আমাদের ই-কমার্সের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে, এখানে তরুণদের সংখ্যাই বেশি। তারা মেধাবী, পরিশ্রমী, তাদের নতুন আইডিয়া আছে, কিন্তু টাকা নেই, যা তাদের ব্যবসা স্থির করার জন্য খুব দরকার।
আমাদের ই-কমার্সের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে, এখানে তরুণদের সংখ্যাই বেশি। তারা মেধাবী, পরিশ্রমী, তাদের নতুন আইডিয়া আছে, কিন্তু টাকা নেই, যা তাদের ব্যবসা স্থির করার জন্য খুব দরকার। এসব তরুণদের যদি সহযোগিতা করা যায় তাহলে হয়তো এই ব্যবসার মান, সক্ষমতা, আরও বেড়ে যাবে, এই ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ই-ক্যাব এর পরামর্শে সরকারের নির্দেশে কোন প্রজেক্ট নিতে পারেন। আশা করছি, ই-ক্যাব প্রেসিডেন্ট জনাব রাজিব আহমেদ এ ব্যাপারটা একটু ভেবে দেখবেন আর সরকারের সাথে কথা বলবেন।
ই-কমার্স সেক্টরের আর একটা বিশাল বড় ক্ষেত্র হল ডেলিভারি। সময় মতো ডেলিভারি না হলে ক্রেতা সন্তুষ্ট হবে না আর সেক্ষেত্রে ব্যবসাও ভাল যাবে না। হয়তো নিজেদের ডেলিভারি টিম দিয়ে ঢাকার মধ্যে কিছুটা সম্ভব কিন্তু পুরো দেশে তা করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে কোন কুরিয়ার সার্ভিস অবশ্যই দরকার, আর আমাদের বেশিরভাগ কুরিয়ার সার্ভিস গুলোই ই-কমার্সের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়নি। এজন্যে তারা এখনো সফল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গুলোতে ক্লায়েন্ট হিসেবে পাচ্ছে না। কিছু কিছু কুরিয়ার হয়েছে যারা চেষ্টা করে যাচ্ছে কিন্তু এত বড় সক্ষমতা হয়নি যে প্রায় ১০০০০ দশ হাজার পার্সেল ডেলিভারি দিতে পারবে প্রতিদিন। তাই প্রথমেই আমি বলব আমাদের ডাক-বিভাগের একটা সেট-আপ আছে সারা বাংলাদেশে। আর ডাক বিভাগের আগের মত কাজও নেই এই ডিজিটাল যুগে । ই-ক্যাব যদি সরকারের সাথে কথা বলে ডাক বিভাগ কে ই-কমার্সের উপযোগী করে ডেলিভারির সহযোগিতা করে, তাহলে ই-কমার্সের ডেলিভারির সমস্যা ১০০% না হোক অনেকাংশেই কমে যাবে। তবে মনে রাখতে হবে, এটা অবশ্যই একদিনে সম্ভব না কিন্তু চেষ্টা তো করা যায়।
আমাদের মাননীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী তারানা হালিমও এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলেছেন। আমি মাননীয় মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই এবং সাথে সাথে অনুরোধ করব যাতে উনি এটা বাস্তবায়ন করার জন্য পদক্ষেপ নেন। সাথে সাথে কন্ডিশনের টাকার বিষয়টাও মনে রাখতে হবে যাতে খুব দ্রুত পাওয়া যায় ডাক বিভাগের কাছ থেকে। সেটা কিভাবে করা যায় ভেবে দেখতে হবে। আশাকরি ডিজিটাল যুগে তা অবশ্যই সম্ভব।
ই-ক্যাব তার সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে মতামত নিয়ে সমন্বিত কোন নতুন উদ্যোগ নেয়া যায় কিনা তা ভেবে দেখতে পারে। যেকোনো ভাবে ডেলিভারির সমস্যাটা সমাধান হলেই ই-কমার্স এগিয়ে যাবে বহুদূর এতে কোন সন্দেহ নেই।