ঢাকা, আগস্ট ১৭, ২০১৫: আগামী ১৩ ও ১৪ নভেম্বর লন্ডনের ই ১৪টিটি, ৬৯-৮৯ মাইল ইন্ড রোডের ‘দ্য ওয়াটারলিলি’তে দ্বিতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত হবে ইউকে-বাংলাদেশ ই-কমার্স ফেয়ার। আইসিটি ডিভিশন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি ও কমপিউটার জগৎ এর যৌথ আয়োজনে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এবারের মেলাতে পার্টনার হিসেবে থাকছে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন। অ্যাসোসিয়েশন গুলো হচ্ছে-ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যাণ্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য), এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। অরগানাইজিং পার্টনার হিসেবে থাকছে ধানসিঁড়ি কমিউনিকেশন লিমিটেড । এ উপলক্ষে গতকাল (আগস্ট ১৭, ২০১৫) বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর সেমিনার কক্ষে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এর অতিরিক্ত সচিব মো. হারুনুর রশিদ, কমপিউটার জগৎ এর সিইও মো. আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, এফবিসিসিআই এর পরিচালক শাফকাত হায়দার চৌধুরী, ই-ক্যাব সভাপতি রাজিব আহমেদ, ডিসিসিআই মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির, বাক্যর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন এবং ধানসিঁড়ি কমিউনিকেশন লিমিটেডের এমডি শমী কায়সার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
মো. হারুনুর রশিদ বলেন, “বাংলাদেশে কম্পিউটার ইন্টারনেট এখন আর বিলাসিতা নয় বরং দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে তথ্য প্রযুক্তির সুফল পৌছে দেবার জন্যে কাজ করছেন। ই-কমার্স এখন আমাদের সময়ের দাবি। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা ই-কমার্সে পিছিয়ে রয়েছি কিন্তু আর নয়। এখন ই-কমার্সকে এগিয়ে নেবার সময় এসেছে এবং এ লক্ষ্যে সরকার এবং ব্যবসায়ী সংগঠনকে একসাথে কাজ করে যেতে হবে।”
এফবিসিসিআই এর পরিচালক শাফকাত হায়দার চৌধুরী বলেন, “দেশের বাইরে বাংলাদেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যে বিশাল বাজার রয়েছে বিশেষ করে লন্ডনে। এখানে প্রচুর বাংলাদেশী বসবাস করেন যারা দেশে নিয়মিত আসেন এবং দেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করে থাকেন। বাংলাদেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছে বাংলাদেশের পণ্য বিক্রী করতে পারেন।”
বাক্যর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন বলেন, “ই-কমার্সের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে কাস্টমার সার্ভিস এবং এক্ষেত্রে কল সেন্টারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি বাড়লে কল সেন্টারগুলোর ব্যবসার পরিধিও বৃদ্ধি পাবে। এ কারণে আমরা ই-কমার্স মেলাতে পার্টনার হিসেবে অংশগ্রহণ করছি। লণ্ডনে বাংলাদেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের জন্যে বড় একটি বাজার রয়েছে। লন্ডনের প্রবাসী বাংলাদেশী কম্যুনিটির মধ্যে ই-কমার্স জনপ্রিয় করে তুলতে পারলে আমাদের ই-কমার্স ইণ্ডাস্ট্রি নিঃসন্দেহে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।”
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ই-ক্যাব এর যুগ্ম সম্পাদক রেজওয়ানুল হক জামী, ডিরেক্টর (ইন্টারন্যাশ আফেয়ার্স) তানভির এ মিশুক, বাক্য কোষাধ্যক্ষ তানভীর ইব্রাহিম, মেট্রোনেট বাংলাদেশ লিমিটেড এর সিইও সৈয়দ আলমাস কবির এবং ধানসিঁড়ি কমিউনিকেশন লিমিটেডের সিইও হুসেইন শাহরিয়ার ।
মেলার আয়োজক পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে মেলায় বাংলাদেশ ও ইউরোপের শতাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়ে তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে। মেলায় অংশ নিতে বর্তমানে স্টল বুকিং চলছে।
মেলায় ই-কমার্স ওয়েবসাইট, ই-গভ. সার্ভিস, ক্রেডিট কার্ড অ্যান্ড পেমেন্ট সার্ভিস, ব্যাংকিং সার্ভিস, ই-এডুকেশন, সফটওয়্যার অ্যান্ড হার্ডওয়্যার, রিয়েল এস্টেট, টেলিকম, কুরিয়ার/ডেলিভারি সার্ভিস, এয়ারলাইন্স, ট্যুরিজম-ট্রাভেল অ্যান্ড হোটেল,ফ্যাশন হাউসসহ অন্যান্য ই-সেবা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে।
মেলায় ই-কমার্স বিষয়ক সেমিনারের পাশাপাশি থাকবে বিটুবি, বিটুসি, জিটুবি বিষয়ক আলাদা সেশন। মেলা সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ই-কমার্স বিশেষজ্ঞ, তথ্যপ্রযুক্তিবিদসহ প্রায় ৫০ হাজার দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখরিত হবে বলে আশা আয়োজকদের। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।
বিস্তারিত: www.e-commercefair.com
Email: expo@e-commercefair.com
Mob: 01819 898 898
ধন্যবাদান্তে
মোহাম্মদ এহতেশাম উদ্দিন মাসুম
মেলা-সমন্বয়কারী
ইউকে-বাংলাদেশ ই-কমার্স মেলা ২০১৫
মোবাইল : ০১৬৭০২২৩১৮৭
ই-মেইল: expo@e-commercefair.com, masum@comjagat.com