ঠকবাজদের হাত থেকে ই-কমার্স ব্যবসাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এবং ক্রেতাদের ই-কমার্স এর উপর বিশ্বস্ত করার উদ্দেশ্যে খুব শীঘ্রই তৈরি হচ্ছে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা।
এই নীতিমালা তৈরিতে বাংলাদেশ সরকারের অধীনে আইসিটি ডিভিশনের সাথে সক্রিয়ভাবে কাজ করবে ই-ক্যাব। চলতি বছর সরকারের প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এর পাশাপাশি ই-কমার্স এর উপর খুব বেশি জোড় দেয়া হচ্ছে।
এই নীতিমালার খসড়ায় ই-কমার্স এর বিভিন্ন সেক্টর যেমন- তথ্য সংরক্ষণ, প্রতারক দের প্রতিরোধ, পণ্য সরবরাহ, অনলাইন মার্কেটিং ইত্যাদি নিয়ে বেশ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এই সেক্টর গুলোর উপর আলাদা আলাদা ভাবেও নীতিমালা করার প্রস্তাব জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি ই-কমার্স ব্যবসার সুদূর প্রসার ঘটাতেও এই নীতিমালা সমান ভাবে কাজ করবে। বর্তমানে ফেসবুকের কল্যানে ই-কমার্সের বেশ প্রসার হচ্ছে। কিন্তু আবার এই ফেইসবুক নির্ভর ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরাই বেশির ভাগ সময় প্রতারণার স্বীকার হচ্ছেন।
এখন কোনো নীতিমালা না থাকায় একটি ট্রেড লাইসেন্স পেতেও নানা ঝক্কির মধ্যে পড়তে হয়। কারণ ট্রেড লাইসেন্সের ক্ষেত্রে ই-কমার্স বলে কোনো ক্যাটাগরি নেই।
ই-ক্যাব বর্তমান প্রেসিডেন্ট, রাজিব আহমেদ এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী এখন প্রায় ১০০০ টি ই-কমার্স ব্যবসা রয়েছে যারা শুধু ফেইসবুক এর মাধ্যমে ব্যবসা করে যাচ্ছেন এবং এর সংখ্যা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আরো জানান, তারা যেসব দেশে ই-কমার্স সফল হয়েছে সেখানকার নীতিমালা যাচাই বাছাই করতে শুরু করেছেন।
অদূর ভবিষ্যতে খবু ভাল একটি ব্যবসা সুলভ পরিবেশ পেতে এই ধরনের নীতিমালার প্রয়োজনীয়তার কথা অনেকদিন ধরেই বিক্রেতারা বলে আসছিলেন।
রাজিব আহমেদ আরও বলেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের IT ও ITES প্রোডাক্ট রপ্তানি করতে পারবে এবং এই ক্ষেত্রে ই-কমার্স এর ভূমিকাই মুখ্য।
একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালাই সবকিছুর সঠিক সঞ্চালক হিসেবে কাজ করবে।